কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার জেরে জামাইয়ের বাড়ীতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব করলেন শ্বাশুড়ী।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক
কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাধীন ডাবিরাভিটা গ্রামের এই ঘটনা ঘটে। কয়েক বছর ধরে জামাইয়ের বাড়ীতে শ্বাশুড়ীর সাথে দীর্ঘদিন পরকিয়ার চলতে থাকে। অবশেষে আজ (২৯ মে) শুক্রবার সকাল ৭ টার সময় জামাইয়ের বাড়ীতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব করেন শ্বাশুড়ী। এই নিয়ে গ্রামে চলছে নানা গুঞ্জন।
তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, ৫ বছর আগে চাচি শ্বাশুড়ীর মেয়ের সাথে একই গ্রামে বিমাল ছেলে মনিরুল ইসলামের সাথে পারিবারিক সূত্রে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মেয়ের বাড়ীতে চাচি শ্বাশুড়ীর যাতাযাত প্রতিদিনের মত ছিল। জামাই মনিরুল ইসলামের টাকা প্রয়োজন হলে চাচী শ্বাশুড়ীর বলেই টাকা পেয়ে যেত জামাই মনিরুল ইসলাম।
চাচী শ্বাশুড়ী লাল বানু জানান আমার স্বামী আব্দুর রশিদ সে দীর্ঘদিন বিদেশে কর্মরত আছে। আমার স্বামী প্রতি মাসে আমার কাছে টাকা পাঠাত। সে টাকা থেকে আমি মনিরুল ইসলামকে জমি কট হিসেবে রেখে তাকে মৌখিকভাবে টাকা প্রদান করি। তারপরে মনিরুল ইসলাম বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার কাছে ৩লক্ষ টাকা কর্জ হিসেবে নেয়। যা এখন পর্যন্ত পরিশোধ করেনি। প্রায় ৪ বছর ধরে টাকা আদান প্রদান করাকে কেন্দ্র করে আমাদের দু’জনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা একেঅপরকে ভালবাসি। আমরা ভেদামারা এলাকার এক কাজী দিয়ে বিয়েও করেছি। তবে এই বিয়েতে কোন স্বাক্ষী বা মওলনাকে দেখতে পাইনি। আমরা এক বিছানায় রাত কাটিয়েছি। আজ পর্যন্ত আমি তাকে ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছি সেও আমাকে দিয়েছে তবে কত টাকা দিয়েছে তা জানি না।
চাচী শ্বাশুড়ী লাল বানু আরও জানান আমাদের এই সম্পর্ক স্বামী আব্দুর রশিদ সহ গ্রামের লোকজন জানা জানি হলে আমাকে স্বামী তালাক ও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি কোন কুলকিনারা না পেয়ে মনিরুল ইসলামের বাড়ীতে হাজির হই। বর্তমানে চাচী শ্বাশুড়ী লাল বানু কোন টাকা পয়সা দাবী করছেন না বরং তাকে ও তার মেয়ে নিয়ে ঘর সংসার করার কথা বলে থাকে।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলামকে তার বাড়ীতে পাওয়া যায়নি।সংবাদকর্মীরা তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হয়েছে।
তবে মনিরুল ইসলামের স্ত্রী জানায় লাল বানু সম্পর্কে আমার আপন চাচী। তিনি সে এ ধরনের কাজ করেছে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে আমার স্বামী মনিরুল ইসলাম তার থেকে জমিতে সার দেবে বলে নগদ টাকা নিয়েছে, তা আবার পরিশোধ করে দিয়েছে। জমির ধান ছিল তা তার বাড়ীতে রেখে আসি। তবে এর আগেও অনেক ছেলেদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ ধরনের ঘটনা অনেক বার ঘটেছে বিভিন্ন বাড়ীতে।
স্থানীয় লোকজন জানায় মনিরুল ও লাল বানু এর সম্পর্ক অনেক বড় মাপের নেতার কানেও গিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি তারা আপোষ করে দেন। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা মোকর্দ্দমা হয়নি বলে জানায় দু পক্ষের লোকজন জানান।যে কোনো সময় এটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা আশংকা করা যাচ্ছে।